রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে চলছে ‘বৈশাখী মেলা ও নগর উৎসব’
রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে চলছে ‘বৈশাখী মেলা ও নগর উৎসব’

ডিএনসিসির বৈশাখী মেলা: শহরের বুকে গ্রামীণ আবহ

বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনের সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে জড়ো হন অনেকে। তাঁদের পরনে রঙিন পোশাক। সবার চোখে-মুখে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের ছাপ। তাঁদের কেউ কেউ গানের তালে মেতে ওঠেন।

পার্কে চলছে ‘বৈশাখী মেলা ও নগর উৎসব’। আয়োজক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তিন দিনের এই উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ সোমবার।

বৈশাখী মেলা ও নগর উৎসবের আয়োজক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)

আজ সকাল সাতটায় শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ‘বর্ষবরণ উৎসব’ দিয়ে দ্বিতীয় দিনের আয়োজন শুরু হয়। এরপর বারামখানা ও পল্লী বাংলার অংশগ্রহণে বাউলগান পরিবেশন করা হয়।

উৎসবস্থলে দেখা যায়, ছোট্ট শিশুদের কেউ কেউ মাথায় ফুল পরে নাচছে। কেউবা ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। প্রবীণেরা গল্পে মেতেছেন। চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন কেউ কেউ।

মাঠে বাউলগানের আসর, ঢাকঢোল বাজছে। বসেছে হরেক পদের দোকান। পাওয়া যাচ্ছে বাঙালি পোশাক, হস্তশিল্প, গয়না ও শিশুদের খেলনা। এ যেন শহরের বুকে একটুকরা গ্রামীণ আবহ।

মেলার প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকলেই চোখে পড়ে শিশুরা ছবি আঁকছে। রংতুলি আর ছবি আঁকার টেমপ্লেট বোর্ড সেখানে রাখা।

একটু এগোলেই নাগরদোলা ও শিশুদের জন্য রাইডের ব্যবস্থা। শিশুরা দল বেঁধে সেখানে খেলছে।

মেলায় বসেছে হরেক রকমের দোকান

পার্কের অন্য প্রান্তে একটি পালকি রাখা। পাশেই হরেক রঙের গামছা দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো একটি রাস্তা।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছবি নিয়ে আয়োজিত প্রদর্শনী ঘুরে দেখছিলেন অনেকেই।

বৈশাখী মেলা ও নগর উৎসবের আয়োজক প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম বলেন, নববর্ষে ঢাকা উত্তরের বাসিন্দাদের জন্য তেমন কোনো উৎসব-আয়োজন আগে দেখা যায়নি। তাই এবার ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এ উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছেন।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ বেলা তিনটায় এখানে তারার মেলা সংগীত একাডেমির আয়োজনে শিশুরা গান গাইবে। বিকেল চারটায় শুরু হবে শিরোনামহীন, প্লাইজমিক রক ও ঘাস ফড়িংয়ের কনসার্ট।