Thank you for trying Sticky AMP!!

দক্ষ মানবসম্পদ না থাকলে ভৌত অবকাঠামো হয় কঙ্কালের মতো: ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আজ রোববার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত আইইউবি ক্যাম্পাসে

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ভৌত অবকাঠামো গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু এর পাশাপাশি শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ না থাকলে তার দশা হয় অনেকটা কঙ্কালের মতো, যার নিজের কিছু করার ক্ষমতা নেই।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এসব কথা বলেন। আজ রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত আইইউবি ক্যাম্পাসে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নতুন ডিগ্রি পাওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি অর্জিত জ্ঞান ও শিক্ষা উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহারের আহ্বান জানান সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল ভিত্তি মানবসম্পদ। এ ক্ষেত্রে তিনি জার্মানি ও জাপানের উদাহরণ তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সাবেক অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে শুধু টাকাকে বিবেচনায় না নিয়ে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসতে হবে।’

সমাবর্তন বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহব্যঞ্জক নানা কথা বলেন ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে গিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নব আনন্দে জাগো আজি নব রবিকিরণে, শুভ্র সুন্দর প্রীতি-উজ্জ্বল নির্মল জীবনে’ গানটি গেয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অতিথিরা। আজ রোববার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত আইইউবি ক্যাম্পাসে

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, সাধারণত দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী চাকরির পেছনে ছোটেন। শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও আদর্শ সমাজ গঠনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। উদ্যোক্তা তৈরির পরিবেশ সৃষ্টিতে অভিভাবকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।

আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, আইইউবিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই নারী শিক্ষার্থীরা পুরুষ শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করছেন। এবারের সমাবর্তনে আচার্যের স্বর্ণ পদক পাওয়া তিন শিক্ষার্থীই নারী। আইইউবিকে নারীবান্ধব ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, নারী শিক্ষার্থীদের সাফল্য তারই ফল।

সমাবর্তনে আরও বক্তব্য দেন আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, আইইউবির সহ–উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান, এডুকেশন সায়েন্স টেকনোলজি অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সালমা করিম (তিনি ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন), কৃতী শিক্ষার্থী এ্যান্ড্রিয়ানা বাশার।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ রোববার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত আইইউবি ক্যাম্পাসে

সমাবর্তনে ১ হাজার ৪৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪০ জন স্নাতক ও ৩১৯ জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী। এবার কৃতী শিক্ষার্থী হিসেবে পদক পান এ্যান্ড্রিয়ানা বাশার, অপ্সরা আহসান, সানজিদা আফরিন, সোবাইতা ফাইরোজ, আলাভী কিফায়াত রেজা, অভিজিত সাহা।

শিক্ষায় স্বীকৃতির পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে সফল কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও সম্মাননা দেওয়া হয়।