
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় একটি পুলিশ ব্যারাক উদ্বোধন করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ব্যারাকে ডিএমপির ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগের প্রায় ৭০০ পুলিশ সদস্যের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ব্যারাকের উদ্বোধন করা হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্বোধনের পর ডিএমপি কমিশনার নতুন ব্যারাক পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, এই ব্যারাকে ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্যরা মানসম্মতভাবে থাকতে পারবেন। এতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁদের মনোবল চাঙা থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আমাদের এই রাষ্ট্রীয় সম্পদ যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে জনগণের সেবায় নিয়োজিত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সের সার্বিক কল্যাণও নিশ্চিত করা হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জিললুর রহমানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী প্রথম আলোকে বলেন, গুলশানে ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগের পুলিশ সদস্যদের থাকার জন্য ছয়তলা ব্যারাক ভবনটি ইতিপূর্বে বসবাসের অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়েছে। সেটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে, সেই আশঙ্কায় গুলশানের সিকিউরিটি বিভাগ ও ট্রাফিক সদস্যদের পূর্বাচলে নির্মিত বহুতল পুলিশ লাইনস ভবনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে পূর্বাচল নতুন শহরকে ডিএমপির অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি পূর্বাচল শহরের জন্য ৪টি থানা, ৬টি ফাঁড়ি ও ৪১টি পুলিশ বক্স চালু করতে জনবল চেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সেই প্রস্তাব যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। শনিবার প্রথম আলোতে ‘ডিএমপির অধীনে আসছে পূর্বাচল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার প্রথম আলোকে বলেন, একনেক (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) থেকে অর্থ বরাদ্দ হলেই দ্রুত থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ বক্স চালু করা হবে।