পবিত্র ঈদুল আজহায় সরকারি ছুটির প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদযাত্রায় ঢাকা ছাড়ছেন তাঁরা। তবে পথে যানজট থাকায় অনেক রুটের বাস দেরিতে আসছে, ছাড়ছেও দেরিতে। অভিযোগ উঠেছে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে সায়েদাবাদের বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। বেশির ভাগ কাউন্টারে যাত্রীরা বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জগামী একটি পরিবহনের কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। অপেক্ষারত একজন যাত্রী জানান, বাস দেরি করে আসছে। তাই টিকিট দিতেও দেরি করছে। টিকিটের জন্য সারি ধরে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা।
রামগঞ্জগামী যাত্রী সামিউল বলেন, অন্য সময়ে ৩০০ টাকা নেওয়া হলেও এখন একেকটি টিকিটের জন্য ৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
আশপাশের কাউন্টারগুলোয় ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছিলেন বাসের সহকারী ও কাউন্টার মাস্টার। বরিশালগামী এক যাত্রী টিকিট সংগ্রহ করতে চাইলে বাস কাউন্টারের মাস্টার বললেন, ‘এসি বাসে একদাম ১ হাজার টাকা। আর নন–এসি বাসে একদাম ৮০০ টাকা।’
কয়েকটি রুটে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করলেন যাত্রীরা। তানভির হাসান নামের একজন ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাবেন। বললেন, অন্য সময়ে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা ভাড়া নেয়। রোজার ঈদে নিয়েছিল সাড়ে ৩০০ টাকা। এবারের ঈদে ৪০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বাসের মাস্টাররা বললেন, ঈদের সময় তাঁদের ট্রিপ কমে যায়। আগে যেখানে দিনে চারটা ট্রিপ দিতে পারতেন, এখন সেটা একটায় নেমে এসেছে। এ জন্য ভাড়া কিছুটা বাড়তি রাখা হচ্ছে।
কাউন্টারগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নন–এসি বাসে ঢাকা থেকে সিলেটের ভাড়া ৮০০ টাকা, বরিশালের ৮০০ টাকা, কুমিল্লার ৪০০ টাকা রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে এসি বাসগুলোয় একেকটি টিকিটে অতিরিক্ত ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বাড়তি ভাড়া রাখা হচ্ছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও বান্দরবান রুটের বাসগুলোয় একই চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পুলিশ ও র্যাবের নিয়ন্ত্রণকক্ষ বসানো হয়েছে।