সড়ক আটকে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। রোববার বেলা ১টায়। শিশু মেলা, ঢাকা
সড়ক আটকে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। রোববার বেলা ১টায়। শিশু মেলা, ঢাকা

আগারগাঁওয়ের সড়কে মোবাইল ব্যবসায়ীরা, আশপাশে তীব্র যানজটে ভোগান্তি

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের অবস্থান চলছে আজ রোববার সকাল থেকে। এতে ওই ভবনসংলগ্ন সড়ক ও আশপাশের সড়কগুলোয় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

অবরোধে শিশু মেলায় পথচারীদের দুর্ভোগ। আজ রোববার দুপুরে

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ব্যবসায়ীরা সেখানে বিক্ষোভ করছেন। মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি এ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।

দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে ওই এলাকায় দেখা যায়, বিক্ষোভরত ব্যবসায়ীরা বিটিআরসি ভবনের সামনে মূল সড়কের এক পাশে অবস্থান নিয়েছেন। তবে বিচ্ছিন্নভাবে আরও কয়েকজন বিক্ষোভকারী সড়কের অন্য পাশও আটকে রেখেছেন। এ সময় ওই সড়ক থেকে বিভিন্ন যানবাহন ঘুরিয়ে দিতে দেখা যায়।

প্রধান সড়ক বন্ধ থাকায় আগারগাঁওয়ে জাতীয় আর্কাইভ ভবনের সামনের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট দেখা দিয়েছে শ্যামলী, শিশু মেলাসহ আগারগাঁওয়ের আশপাশের সড়কগুলোতেও।

আগারগাঁওয়ের সড়কে যানজটে আটকে থাকা এক মোটরসাইকেল আরোহী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বলা নেই কওয়া নেই, হুট করে রাস্তা বন্ধ। এভাবে ভোগান্তি করার মানে হয় না।’

আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। আজ রোববার সকালে

বিটিআরসি ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে বৈধ পথে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমানো ও প্রবাসীদের ফোন আনার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের সামনের সড়কে মোবাইল ব্যবসায়ীদের অবস্থান। আজ রোববার দুপুরে

এনইআইআরের মাধ্যমে প্রতিটি মোবাইল ফোনকে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। এর পর থেকে অবৈধভাবে নিয়ে আসা ফোন ব্যবহার করা যাবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

বিটিআরসি ভবনের সামনের সড়কে মোবাইল ব্যবসায়ীদের অবস্থান। আজ রোববার দুপুরে

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়িত হলে লাখ লাখ ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন এই নিয়মের ফলে বিশেষ একটি গোষ্ঠী লাভবান হবে এবং বাড়তি করের চাপে গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইলের দাম বেড়ে যাবে।