
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল থেকে আটক আশরাফুল ইসলাম ওরফে যাযাবর পারভেজের বিরুদ্ধে চুরির মামলা হয়েছে। আজ সোমবার তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত আজ এ আদেশ দেন। ঢাকা জেলা পুলিশের আদালত পরিদর্শক আকতার হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের একটি কক্ষ থেকে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আটক হন আশরাফুল ইসলাম। পরের দিন তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর আশুলিয়া থানায় চুরির মামলা করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী।
মামলায় বলা হয়েছে, আশরাফুল ইসলাম শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছাত্রী হলের ২১৬ নম্বর কক্ষের সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। একপর্যায়ে ছাত্রীরা চোর, চোর বলে চিৎকার করে তাঁকে ধাওয়া করে আটক করেন। পরে আশরাফুলের পকেট থেকে একজন ছাত্রীর চুরি হওয়া ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আশরাফুল ইসলামের দাবি, তিনি চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং এলাকার বাসিন্দা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘হিম উৎসব’ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেখানে ঘুরতে এসেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫২তম ব্যাচের এক ছাত্রীর সঙ্গে হলে প্রবেশ করেন পারভেজ। এ সময় তাঁর কপালে টিপ, পরনে পালাজ্জো ও ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। তাঁর পোশাক ও হাঁটার ধরন দেখে কয়েকজন ছাত্রীর সন্দেহ হলে বিষয়টি হল সুপারকে জানানো হয়। একপর্যায়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হল সুপারসহ কয়েকজন গিয়ে ওই ছাত্রীর কক্ষে পারভেজকে দেখতে পান। এরপর তাঁকে আটক করে হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে আশুলিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের হল সুপার নাদিয়া সুলতানা জানান, ওই ছাত্রীর কক্ষে পুরুষের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁকে জানানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ছাত্রীর কক্ষে গিয়ে ওই যুবককে (পারভেজ) খাটের ওপরে বসে থাকা অবস্থায় দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি হলের প্রাধ্যক্ষকে জানানো হয়।
আটকের পর পারভেজ বলেন, ‘আমরা দুজন ভালো দোস্ত। সাত বছরের বন্ধুত্ব। হিম উৎসব উপলক্ষে ক্যাম্পাসে বেড়াতে এসেছি। হলে আসার সময় আমি কপালে টিপ পরে মুখ ও শরীরে চাদর মুড়িয়ে হলে প্রবেশ করি।’
নিজেকে বিবাহিত দাবি করে অভিযুক্ত ওই ছাত্রী বলেন, ‘আমরা উভয়ই ভালো বন্ধু। হিম উৎসবে সে বেড়াতে এসেছিল। রাতে থাকার জায়গা না পাওয়ায় তাঁকে হলে নিয়ে এসেছি।’