রাজধানীর হাতিরঝিলে ঘরের ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক। তাঁর নাম সুব্রত বিশ্বাস (৩৬)। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
স্বজনেরা জানান, সুব্রত ঢাকায় একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁর স্ত্রী বরিশালে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তিনি স্ত্রী কাকলি বাড়ৈকে ভিডিও কলে গলায় চাদর পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন।
সুব্রত বিশ্বাসের নিকটাত্মীয় পলাশ দত্ত জানান, আজ বিকেলে কাকলি তাঁকে ফোন করে বলেন, সুব্রত আত্মহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সুব্রতকে উদ্ধারের জন্য তাঁকে অনুরোধ করেন কাকলি। পলাশ তিনতলার সেই বাসায় গিয়ে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। অনেক সময় ধরে ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে বাড়িওয়ালা ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের সহায়তায় দরজা ভেঙে রাত ৮টার দিকে সুব্রতকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পলাশ দত্ত বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। তবে কী বিষয়ে ঝগড়া হয়েছিল, বলতে পারেননি তিনি। সুব্রত বিশ্বাসের বাড়ি বরিশালের উজিরপুর থানার সাহেবেরহাট গ্রামে। তাঁর বাবার নাম সুকুমার বিশ্বাস।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য সুব্রত বিশ্বাসের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।