সংবাদ সম্মেলন করে বইমেলা আয়োজনের তথ্য জানায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা একাডেমির আল মাহমুদ লেখক কর্নারে
সংবাদ সম্মেলন করে বইমেলা আয়োজনের তথ্য জানায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা একাডেমির আল মাহমুদ লেখক কর্নারে

বিজয় বইমেলা ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) উদ্যোগে আগামী ১০ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমি মাঠে শুরু হচ্ছে ‘বিজয় বইমেলা ২০২৫’। মেলাটি চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দেশের প্রায় ২০০ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে এ মেলায়।

‎আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা একাডেমির আল মাহমুদ লেখক কর্নারে সংবাদ সম্মেলন করে বইমেলা আয়োজনের তথ্য জানায় বাপুস। আয়োজকেরা জানান, ডিসেম্বর বিজয়ের মাস হওয়ায় মেলাটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আয়োজনটি শুধু বই বিক্রির মেলা নয়; বরং বই পড়া বাড়ানোর একটি উদ্যোগ হতে যাচ্ছে।

‎‎১০ ডিসেম্বর বিকেল চারটায় বিজয় বইমেলা ২০২৫-এর উদ্বোধন হবে। বিজয় বইমেলা প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিনে মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

মেলা সম্পর্কে প্রথমা প্রকাশনের ‎উপব্যবস্থাপক কাউসার আহমেদ বলেন, ‘শিশু থেকে বড়—সবাই যেন বই পড়তে আগ্রহী হয়, সেটি নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বইমেলাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আয়োজনের পরিকল্পনাও জানিয়েছে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস)। বিজয় বইমেলা ২০২৫–এর আয়োজনে ১৫টি দেশের দূতাবাসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানালেন মেলার আয়োজকেরা।

বিজয় বইমেলা উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ও বাপুসের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচালক আবুল বাশার ফিরোজ শেখ বলেন, ‘অমর একুশে বইমেলা যেমন একটি সর্বজনীন উৎসব, বিজয় বইমেলা নামে তেমনি আরেকটি উৎসব আমরা জাতিকে উপহার দিতে চাই। আমাদের পরিকল্পনা আছে দেশের ৬৪ জেলায় বইমেলা করার।’

রেনেসা পাবলিকেশনের প্রকাশক সাবাহ খালেদ বলেন, ‘আগামী বছর আমরা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বইমেলার আয়োজন করতে যাচ্ছি। আমরা চাই সকল শ্রেণির পাঠক যেন বইমেলায় অংশ নিতে পারে।’

‎বিজয় বইমেলায় শিশুদের জন্য থাকছে গল্প বলার প্রতিযোগিতা, পুতুলনাচ, ম্যাজিক শো, বায়স্কোপসহ আরও অনেক কিছু। এ ছাড়া ১১ থেকে ২২ ডিসেম্বর প্রতিদিন থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।