
রাজবাড়ীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল মারা গেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে রাজবাড়ীতে করোনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হলো। রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যের নাম জামাল মাতুব্বর (৫২)। তাঁর বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ গ্রামে। জামালের বাবার নাম আবদুল ওয়াদুদ মাতুব্বর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৩ জুলাই কনস্টেবল জামালের করোনা শনাক্ত হয়। ওই দিনই তাঁকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শুরু হলেও ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এমন অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ বিকেলে তাঁকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন স্বজনেরা। কিছু দূর যাওয়ার পর তিনি টয়লেটে যেতে চাইলে তাঁকে আবারও রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোমাত্রই তিনি মারা যান।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিআই-১) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীতে রাতে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কনস্টেবল জামালের লাশ নিজ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
রাজবাড়ীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৫ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ। রাজবাড়ী সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ২৯ জন, গোয়ালন্দে ২৬ জন, পাংশায় ১১ জন, বালিয়াকান্দিতে ১৪ জন এবং কালুখালী উপজেলায় ৫ জন রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭০৫ জন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৩ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। এ ছাড়া আরও ১ হাজার ১২৭ জন বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। সরকারি আইন আমাদের মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউনের সময়ে সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। এ ছাড়া জ্বর–সর্দি বা করোনার কোনো উপসর্গ দেখা দিয়ে দ্রুত নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে।’