Thank you for trying Sticky AMP!!

দেশে উদ্ভাবিত কিট দিয়ে করোনা শনাক্ত শুরু হচ্ছে

‘বিসিএসআইআর-কোভিড কিট’।

দেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে দেশের মানুষের করোনা শনাক্ত করা হবে। আগামীকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এই কিট দিয়ে করোনা পরীক্ষা শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিবিদ্যালয় ও বিএসএমএমইউর বিজ্ঞানী, গবেষক ও চিকিৎসকেরা করোনা শনাক্তের এই কিট উদ্ভাবন করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিএসএমএমইউতে আয়োজিত সভায় ‘বিসিএসআইআর–কোভিড কিট’ নামের এই কিট আনুষ্ঠানিকভাবে উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে তিন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে যেসব কিট ব্যবহার করা হচ্ছে, তার চেয়ে বাংলাদেশে উদ্ভাবিত কিটের প্রযুক্তিগত পার্থক্য আছে। করোনাভাইরাস রূপান্তরিক হলেও, অর্থাৎ এর যেকোনো ভেরিয়েন্ট এই কিটের মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই কিট ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ কিট উৎপাদন করা হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) বা ব্যক্তিমালিকাধীন প্রতিষ্ঠান এই কিট বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করবে। আপাতত বিসিএসআইআরের উৎপাদিত কিট ব্যবহৃত হতে থাকবে।

বিএসএমএমইউতে আয়োজিত সভায় ‘বিসিএসআইআর-কোভিড কিট’ নামের করোনা শনাক্তের কিট আনুষ্ঠানিকভাবে উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়

বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্য যেকোনো কিটের চেয়ে বিসিএসআইআর–কোভিড কিট বহুগুণ উন্নত। কারণ একাধিক। প্রতি মিলিলিটার নমুনায় ভাইরাসের (কপি) সংখ্যা কমপক্ষে এক হাজার না থাকলে বর্তমানে ব্যবহৃত কিটে করোনা শনাক্ত হয় না। অন্যদিকে ভাইরাসের সংখ্যা মাত্র ১০০ থাকলেই বিসিএসআইআর–কোভিড কিট করোনা শনাক্ত করতে পারে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কিটে ফলস নেগেটিভ কম হয়। অন্যদিকে বাজারের কিটগুলোর দাম তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। বিসিএসআইআর–কোভিড কিটের দাম ২৫০ টাকা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিএসএমএমইউর কোষাধ্যক্ষ ও বক্ষব্যাধি–বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, এই কিট পেটেন্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পেটেন্ট হয়ে গেলে এই কিট রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যানসহ একাধিক বিজ্ঞানী বলেন, এই কিট উদ্ভাবনের অনুশীলনের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু শিখেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। বিএসএমএমইউর উপাচার্য বলেন, ‘বিসিএসআইআর–কোভিড কিট উদ্ভাবনের মধ্য নিয়ে আরও একটি নতুন কিট উদ্ভাবনের জন্য নিজেদের আমরা তৈরি করলাম।’