Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্ত্র ও মাদক মামলায় ‘গোল্ডেন মনির’র বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন মনির’

অস্ত্র ও মাদক মামলায় ‘গোল্ডেন মনির’র বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ মঙ্গলবার এই অভিযোগপত্র জমা দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আবদুল মালেক।

Also Read: দুবাইয়ে হুন্ডি করে টাকা পাঠাতেন ‘গোল্ডেন মনির’

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি ‘গোল্ডেন মনির’ একজন চোরাকারবারি। তাঁর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অবৈধ অস্ত্র, গুলি, মাদক, বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন ব্যক্তির নামের সিল নিজ হেফাজতে রাখার কথা আসামি স্বীকার করেন। গত বছরের ২২ নভেম্বর অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও বৈদেশিক মুদ্রা রাখার আলাদা তিন মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে ১৮ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন আদালত। গত ২১ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। র‍্যাবের ভাষ্য, মনির অবৈধ উপায়ে এক হাজার কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক হয়েছেন।

নব্বইয়ের দশকে গাউছিয়া মার্কেটের কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন মনির। এরপর মৌচাক মার্কেটের ক্রোকারিজের দোকানে চাকরি নেন। এরপর তিনি বিমানবন্দরকেন্দ্রিক লাগেজ পার্টি ও সোনার চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন। পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ নামে।

র‍্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ তখন জানান, বিক্রয়কর্মী থেকে লাগেজ পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর মনির শুরুতে কর ফাঁকি দিয়ে কাপড়, কসমেটিক, ইলেকট্রনিক পণ্য, কম্পিউটারসামগ্রীসহ বিভিন্ন মালামাল আনা-নেওয়া করতেন। একপর্যায়ে আকাশপথে সোনা চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন।

Also Read: গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুদক

সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার পর কবজায় নেন রাজউক। কারসাজির মাধ্যমে মালিক হন একের পর এক প্লটের। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গেও মনিরের সখ্য ছিল অন্য রকম। রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় ডিআইটি প্রজেক্টের ১১ নম্বর সড়কে মনিরের ছয়তলা বাড়ি আছে। সেখান থেকে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, চার লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল, ৮ লাখ টাকার বেশি মূল্যমানের বিদেশি মুদ্রা, ৬০০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

Also Read: যেভাবে তিনি মনির থেকে গোল্ডেন মনির