চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানায় মডেল জ্যাকুলিন মিথিলা ওরফে জয়া শীলের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করেছে পরিবার। ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে চট্টগ্রামের বন্দর থানাধীন বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে জ্যাকুলিনের বাবা স্বপন শীল আটজনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বন্দর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, জয়া শীল নামের এক মডেল গত শুক্রবার সকালে তাঁর বাবার বাসায় আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা মামলা করেছেন। কিন্তু আসামিদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না পাওয়ায় তাঁদের আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি।
পরিবার জানায়, জ্যাকুলিন কয়েকটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
জয়া শীলের বাবা স্বপন শীল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার একমাত্র সন্তান জয়া শীল তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে আত্মহত্যা করেছে। গত ৩ নভেম্বর আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী উৎপল রায় জয়াকে এড়িয়ে চলছিল। অথচ সাত বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। উৎপল কৃষি বিভাগে চাকরি করে।’ তিনি বলেন, উৎপল ও তাঁর মা এবং আত্মীয়স্বজন জয়াকে বিয়ের পর থেকে ভালোভাবে নিচ্ছিলেন না। এ নিয়ে জয়ার মধ্যে হতাশা কাজ করছিল। ঘটনার দিন ঘুম থেকে উঠে নাশতা সেরে তাঁর কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয় সে। অনেকক্ষণ পর তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগে স্বামীসহ কয়েকজনের নাম চিরকুটে উল্লেখ করে গেছে জয়া। তাঁদের সবাইকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জয়ার ঝুলন্ত লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের পর তার ভালোবাসা কমে গেছে।’ পুলিশ সূত্র জানায়, ফেসবুকে জয়া আত্মহত্যা করার ইঙ্গিত দিয়ে পোস্ট করেছিলেন।
জয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, ঢাকার রামপুরা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন জয়া। তাঁর মা সঙ্গে থাকতেন। বাবা চট্টগ্রামে একা থাকতেন।