Thank you for trying Sticky AMP!!

আ.লীগ নেতা জাহিদুল হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে

জাহিদুল ইসলাম

রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহকারী ইশতিয়াক আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে এই নিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে জিতুর গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি প্রথম আলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সুমন শিকদার মুসাকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন ইশতিয়াক। হত্যাকাণ্ডের প্রায় দেড় মাস আগে মুসা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিশানের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র চেয়েছিলেন। পরে মুসাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেন ইশতিয়াক। টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল ওরফে প্রীতি (২২) হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

গ্রেপ্তারের পর আজ ইশতিয়াকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তবে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত শুনানি শেষে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে ডিবি পরিদর্শক খুনের ঘটনায় ইশতিয়াক দুই বছর জেলে ছিলেন।

এদিকে জাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে ওমর ফারুক, নাসির উদ্দিন ও কাইল্যা পলাশকে আজ সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

গত ২৪ মার্চ মতিঝিল এজিবি কলোনি এলাকার রেস্তোরাঁ থেকে মাইক্রোবাসে করে বাসায় ফিরছিলেন টিপু। গাড়িটি শাহজাহানপুরে জামে মসজিদের কাছে পৌঁছালে তাঁকে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে টিপু নিহত হন। সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে কলেজছাত্রী সামিয়া নিহত হন।