Thank you for trying Sticky AMP!!

আশুগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গ্রামপুলিশ নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ভানু লাল চন্দ্র (৩৫) নামের এক গ্রামপুলিশ নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার তালশহর-বাহাদুরপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধের জেরে ঘটনাচক্রে নিহত হন ভানু।

নিহত ভানু তালশহরের হরিচরণ দাশের ছেলে। তিনি তালশহর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশের চাকরি করতেন।

তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সামা মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সকালে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ির জ্বালানি তেল আনতে গ্রাম পুলিশ ভানু লালকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন চালক শিপন মিয়া। গাড়িতে চালকের পাশের আসনে বসেন ভানু। গাড়িটি তালশহর-বাহাদুরপুর সড়ক হয়ে আশুগঞ্জ সদরের দিকে যাচ্ছিল। কিছু দূর যাওয়ার পর কয়েকজন যুবক গাড়িটি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলেই ভানু লাল মারা যান। তাঁর দাবি, ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিরোধ আছে। নির্বাচনের আগে থেকেই তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে আশুগঞ্জ থানায় তিনি অভিযোগও করেন।

আবু সামা মিয়ার ভাষ্য, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। উপজেলার অধিকাংশ মানুষই বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ মুন্সীর বিপক্ষে ছিল। আমিও তাঁর বিপক্ষে ছিলাম। নির্বাচনে বিরোধিতার কারণে হানিফ মুন্সীর লোকজন আমাকে ও আমার ছেলে আমির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায়। গাড়িতে না থাকায় ছেলেসহ আমি বেঁচে গেলাম। তবে এ ঘটনায় মামলা করাসহ নিহতের পরিবারের সব দায়িত্ব নেব। আমরা গাড়িতে আছি মনে করেই গুলি চালানো হয়েছে। ভানু লাল হামলাকারীকে চিনে ফেলার কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবু সামার লোকজনই তাঁকে হত্যা করেছে। ঘটনাটি তাঁর এলাকায়ই ঘটে। আর লোকের মাধ্যমে যতটুকু শুনেছি, আবু সামার গাড়িতে কোনো রক্তের ফোঁটা নেই। আপনারা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন।’

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ আলম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের কেউ ছাড় পাবে না।