Thank you for trying Sticky AMP!!

করোনা-আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে বাল্যবিবাহের চেষ্টা, শ্রীঘরে

প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মানুষ ঘর থেকে তেমন বের হয় না, জনসমাগমও কম। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাল্যবিবাহের চেষ্টা করছিলেন মো. নাইম মিয়া (২৫) নামের এক যুবক। তিনি কৌশলে মেয়েটিকে (১৫) নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে বিয়ের আয়োজন করেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রহুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নাইম মিয়ার বিরুদ্ধে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আদালত ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নাইম মিয়া ঢাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে কারখানাটি সাময়িক বন্ধ করা হয়। ছুটি পেয়ে তিনি সপ্তাহখানেক আগে বাড়ি চলে আসেন। এরপর তিনি পূর্বপরিচিত একই উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই মেয়েকে বিয়ে করার আয়োজন করেন। আজ ভোরে মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের না জানিয়ে কাজি ডেকে বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে চান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও আল-ইমরান রহুল ইসলাম কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানসহ পুলিশ ও তাঁর কার্যালয়ের লোকজন নিয়ে বিয়েবাড়িতে গিয়ে হাজির হন। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসান। আদালতের কাছে নাইম মিয়া নিজের দোষ স্বীকার করেন। এ সময় তাঁকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কেন্দুয়া থানার ওসি বলেন, আদালত বিয়েটি বন্ধ ও বরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ওই মেয়ের বিবাহ দেবেন না মর্মে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন।