Thank you for trying Sticky AMP!!

কেরানীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান হত্যায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড

আতিকুল্লাহ চৌধুরী

ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তৎকালীন চেয়ারম্যান আতিকুল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।

একই মামলায় একজন খালাস পেয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাত আসামি হলেন গুলজার হোসেন, আসিফ, শিহাব আহম্মেদ, আহসানুল কবির, রফিকুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর খাঁ। তাঁদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও আহসানুল কবীর কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।

মামলার রায়ে খালাস পেয়েছেন শম্পা নামের এক নারী।

মামলা ও আদালতের নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন কোন্ডা ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আতিকুল্লাহ চৌধুরী।

নিখোঁজের পরদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে আতিকুল্লাহর আগুনে পোড়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আতিকুল্লাহর সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।

আতিকুল্লাহ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

একই বছরের ২ জুলাই আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আতিকুল্লাহর ছেলে সাইদুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন আসামিরা। নির্বাচনসংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবাকে হত্যা করা হয়। এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট। আমি দ্রুত রায় কার্যকর চাই।’