Thank you for trying Sticky AMP!!

চলন্ত বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, চালক-সহকারীকে পুলিশে সোপর্দ

চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে বাসের চালক ও সহকারীকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে নগরের ওয়াসা মোড়ে গাড়ি থামিয়ে দুজনকে পিটুনি দেওয়া হয়। বাসটি ভাঙচুরও করেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

পিটুনির শিকার বাসচালক মো. রাসেল (২৬) ও তাঁর সহকারী মো. হানিফকে (২৮) চকবাজার থানা-পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। অভিযোগ আছে, ইপিজেড থানার আওতায় থাকা সল্টগোলা এলাকায় শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নগরের ইপিজেড থানায় মামলা হওয়ার কথা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য নগরের বন্দরটিলা থেকে বাসে ওঠেন। ওই সময় বাসের ভেতরে কেবল দুজন ছিলেন। বাসে ওঠার পর থেকেই চালকের সহকারী ছাত্রীর দিকে অশ্লীল ইঙ্গিত করছিলেন। এ নিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে তাঁদের বাগ্‌বিতণ্ডাও হয়। সল্টগোলা ক্রসিংয়ে যানজটে থামলে ছাত্রীটি জোর করে বাস থেকে নেমে যান। ওই সময় ছাত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন বাসচালকের সহকারী।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, চলন্ত বাসে গাড়ির চালক ও তাঁর সহকারী ছাত্রীটির দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার সময় চালকের সহকারী ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। ওসি আরও বলেন, বাস থেকে নেমেই ওই ছাত্রী মোবাইল ফোনে তাঁর সহপাঠীদের বিষয়টি জানান। এরপর নগরের ওয়াসা মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাহারা বসিয়ে বাসটি খুঁজে বের করেন। এরপর অভিযুক্ত চালক ও তাঁর সহকারীকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা।

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. আহসানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই ছাত্রী বাসচালকের সহকারীকে চিহ্নিত করেছেন। তবে শ্লীলতাহানির চেষ্টার পর চালক বদল হয়। প্রকৃত চালককে ধরার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।