নীলফামারীর সৈয়দপুরের হাতিখানা মহল্লার একটি মাদ্রাসায় চার শিশু শিক্ষার্থী বলাৎকারের শিকার হয়েছে। এ খবরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই মাদ্রাসা ঘেরাও করলে তিনজন শিক্ষক পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এলাকার কয়েকজনের বর্ণনা অনুযায়ী, মুনিরিয়া এমদাদিয়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ ফেরদৌস (২৮) ভয় দেখিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের বলাৎকার করে আসছিলেন। গত বুধবার রাতে মাদ্রাসার হেফজ শিক্ষার্থী ১২ বছরের একটি শিশুকে বলাৎকার করেন ওই শিক্ষক। শিশুটিকে ১০০ টাকা দিয়ে তিনি এ কথা কাউকে না বলার নির্দেশ দেন। কিন্তু শিশুটি পরদিন নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদ থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায়। সে নির্যাতনের কথা তার বাবা-মাকে জানায়। খবর পেয়ে মাদ্রাসার পাশের এলাকার শতাধিক লোক গতকাল বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা ঘেরাও করেন। এ সময় পালিয়ে যান দুই শিক্ষক। এর আগেই পালান অভিযুক্ত শিক্ষক ফেরদৌস।
গতকাল ওই মাদ্রাসায় গেলে চার শিক্ষার্থী একই ধরনের অভিযোগ করে। এদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছর। এদের একটি শিশু কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘আমি এতিম। আমার বাবা-মা নেই। তাই মাদ্রাসা থেকে পালাইনি। যাব কোথায়? তাই তিন মাস ধরে হুজুরের নির্যাতন সহ্য করছি।’ শিশুরা আরও জানায়, প্রতি রাতে ফেরদৌস একজন করে ছাত্রকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে (গুদামঘর) নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করতেন।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জুবায়ের আলম বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। এমনটি হয়ে থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি জানান, এ মাদ্রাসায় মোট ৩৫ জন শিক্ষার্থী ও তিনজন শিক্ষক রয়েছেন।