Thank you for trying Sticky AMP!!

টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গাসহ নিহত ২

বন্দুকযুদ্ধ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক রোহিঙ্গাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। বিজিবির দাবি, নিহত দুজন ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদায় নাফ নদীসংলগ্ন এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ইয়াবা বড়ি ও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

নিহত দুজন হলেন মো. কামাল (২২) ও মো. হাবিবুর রহমান (২৩)। কামাল রোহিঙ্গা নাগরিক। তাঁর বাবার নাম মো. ইসলাম। উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের ব্লক ই, ১১ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন কামাল। নিহত হাবিবুর রহমান কোয়াইক্যং উপজেলার মহেশখালিয়াপাড়ার আবু শামার ছেলে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবি উপ–অধিনায়ক মেজর শরিফুল ইসলাম জমাদ্দার। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদায় নাফ নদীসংলগ্ন এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকবে বলে গোপন তথ্য ছিল। ওই তথ্যের সূত্র ধরে বিজিবির একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় আগে থেকে অবস্থান করে। এমন সময় কয়েকজনকে ওই এলাকায় দেখে বিজিবির সন্দেহ হয়। তখন তাদের থামার সংকেত দিলে তারা বিজিবির ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিজিবি তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে দুই পক্ষের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত গোলাগুলি হয়। পরে ওই এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং এক লাখ ইয়াবা বড়ি ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

মেজর শরিফুল জানান, গুলিবিদ্ধ দুজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করতে বলেন। কক্সবাজার নেওয়ার পথে তাঁরা মারা যান। পরে তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, গুলিবিদ্ধ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার তাঁদের কক্সবাজার স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। তাঁদের দেহে একাধিক গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।

টেকনাফ ২ বিজিবি উপ–অধিনায়ক মেজর শরিফুল ইসলাম জমাদ্দার জানান, গোলাগুলিতে বিজিবি সদস্য শফিকুর রহমান, উজ্জ্বল হোসেন ও ইমরান হোসেন আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত দুজনের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।