Thank you for trying Sticky AMP!!

টেকনাফে 'বন্দুকযুদ্ধে' ২ রোহিঙ্গা নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, দুজনই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। নিহত ব্যক্তিরা হলেন টেকনাফের হ্নীলার নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের মোহাম্মদ আলম (৩৫) ও জাদিমোরা রোহিঙ্গা শিবিরের মো. রফিক (২০)।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার হ্নীলার লেদা রোহিঙ্গা শিবিরসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।


ওসি জানান, গতকালের অভিযানের সময় দুটি দেশীয় অস্ত্র (এলজি), ৭টি গুলি, ২ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির ৬ লাখ ৫৬ হাজার ২১০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রদীপ কুমার দাস জানান, গতকাল রাত নয়টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে পাশে অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আলম ও মোহাম্মদ রফিককে আটক করা হয়। পরে তাঁদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রাত প্রায় দুইটার দিকে লেদার রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির এলাকায় মজুত রাখা ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে গেলে এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। তখন পালানোর সময় পুলিশ ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মাঝখানে পড়ে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের শরীরে তিনটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে।


ওসি বলেন, নিহত দুই মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

গত বছরের ৪ মে থেকে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এ নিয়ে র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ও এলাকায় মাদকের প্রভাব বিস্তারের ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় ৯৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এক রোহিঙ্গা নারীসহ ১৯ রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছেন। এর মধ্যে টেকনাফে ৫৯ ও উখিয়ায় দুজন নিহত হন।