Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকায় নেমেই গ্রেপ্তার রন হক সিকদার

রন হক সিকদার

ঢাকায় নেমেই গ্রেপ্তার হলেন সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার। তিনি বাবার মৃত্যুর কারণে ঢাকায় আসেন। একটি হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

ওই বিভাগের ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম সাকলায়েন প্রথম আলোকে বলেন, এক্সিম ব্যাংকের করা একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এই মামলার অপর আসামি রন হক সিকদারের ভাই দিপু হক সিকদার দেশে ফেরেননি। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) ইফতেখায়রুল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁকে (রন হক) আদালতে তোলা হবে।

এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ১৯ মে এ মামলা করা হয়।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, গত ৭ মে রন ও দিপু এক্সিম ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসনেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দী করে রাখেন। তাঁদের গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়।

Also Read: অনুমোদন নিয়েই রোগী সেজে দেশ ছেড়েছেন সিকদারের দুই ছেলে

এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নির্যাতন করা হয়েছে, উল্লেখ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, পরে সাদা কাগজে সই নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সিকদার গ্রুপ ব্যাংকটির কাছে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব দিলে এর বিপরীতে গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনে যান ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। সে সময় এ ঘটনা ঘটে।

মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রুপের এমডির দাবির তুলনায় বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য কম ছিল। এরপর ব্যাংক কর্মকর্তাদের একটি অ্যাপার্টমেন্টে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। তাঁদের গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয় ও সাদা কাগজে সই নেওয়া হয়।

Also Read: 'গুলি করে জন্মের মতো খোঁড়া করে দিব'

ঘটনার পর থেকেই মামলার দুই অভিযুক্ত রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার পলাতক রয়েছেন বলেও জানান গুলশান থানার ওই সময়ের ওসি কামরুজ্জামান।