Thank you for trying Sticky AMP!!

ধর্ষণ মামলার আসামি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক তরুণ নিহত হয়েছেন। তিনি এক কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের পূর্ব আমিরাবাদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। র‍্যাবের ভাষ্য, ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও ১১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত তরুণের নাম মো. ইকবাল হোসেন ওরফে রানা (২৩)। বাড়ি পৌর সদরের আমিরবাদ এলাকায়। বাবার নাম নুরুল ইসলাম।

খবর পেয়ে সকালে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণ মামলার আসামি ছিলেন ইকবাল। গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

র‍্যাব-৭-এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম প্রথম আলোকে বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইকবাল এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। গতকাল তিনি ছয় থেকে সাতজন লোক নিয়ে পূর্ব আমিরাবাদে অবস্থান করছেন বলে খবর পায় র‍্যাব। র‍্যাবের চাঁন্দগাও ক্যাম্পের সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযানে যান। পরে র‍্যাবের সঙ্গে ওই তাঁদের গুলিবিনিময় হয়। এতে ইকবাল নিহত হন।

র‍্যাবের চাঁন্দগাও ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের দিকে এগিয়ে যেতেই তাঁরা র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে যুবকেরা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে ইকবালের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকে। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সোয়া ছয়টার দিকে ঘটনাস্থলে যান তিনি। ঘটনাস্থল থেকে ইকবালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, নিহত ইকবালের বুকে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানা সূত্র জানায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পৌর সদরের আমিরাবাদ এলাকায় ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ইকবালের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।