Thank you for trying Sticky AMP!!

নরসিংদীর রায়পুরায় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক হত্যাকাণ্ডে দুজন গ্রেপ্তার

সিরাজুল হক

নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিরাজুল হক হত্যাকাণ্ডে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেনি পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আবদুল আলী মৃধা ও আবুল কালাম। তাঁরা এলাকায় যথাক্রমে মৃধা ও কালাম হিসেবে পরিচিত। এঁদের মধ্যে মৃধা রোববার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আর স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গত বৃহস্পতিবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকেই মৃধা ও কালামকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। তবে শনিবার জানতে চাইলেও পুলিশ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কিছুই বলেননি। রোববার এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে প্রথম আলোতে এ তথ্য ছাপার পর সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল্লাহ আল মামুন।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি বলেন, আধিপত্য বিস্তারের জন্য চরগুলোতে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ চেষ্টা করছে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে। অন্য আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

স্থানীয় রাজনীতিবিদদের এর জন্য দায়ী করা যায় কি না, জানতে চাইলে এসপি বলেন, ‘না, প্রতিটা ঘটনাই আলাদা।’
তবে স্থানীয় লোকজন বিভক্ত রাজনীতিকেই এত হানাহানির জন্য দায়ী করছেন।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাড়ার মোটরসাইকেলে বাড়িতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন টানা ৩০ বছর ধরে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল হক। তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ছিলেন। তাঁকে হত্যার জন্য স্বজনেরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষকেই দায়ী করেছেন। এর মধ্যেই প্রতিপক্ষের চারটি পরিবারের নয়টি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কুপিয়ে নষ্ট করা হয়েছে আরও বেশ কিছু টিনের ঘর।