Thank you for trying Sticky AMP!!

ফেসবুকে কিশোরীর সঙ্গে পরিচয়, অতঃপর...

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্কুলপড়ুয়া এক কিশোরীর সঙ্গে এক তরুণের পরিচয় হয়। ওই তরুণের অনুরোধে দেখা করতে গেলে কৌশলে বিশেষ মুহূর্তের ছবি তুলে রাখা হয়। পরে ওই তরুণের বন্ধুরা মিলে টাকা দাবি করেন কিশোরীর কাছে। নাহলে ইন্টারনেটে ছবিগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তরুণের। গতকাল বুধবার নগরের সিআরবি এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন মঈনুদ্দিন মাইমুন ও তাঁর বন্ধু মেহেদি হাসান। পালিয়ে যান মো. আসিফ নামের আরেকজন।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর সঙ্গে ৩ এপ্রিল ফেসবুকের মাধ্যমে মঈনুদ্দিনের পরিচয় হয়। মঈনুদ্দিন তাকে দেখা করার অনুরোধ করলে কিশোরী ১২ এপ্রিল সিআরবি এলাকায় দেখা করে। পরে আবার ১৫ এপ্রিল দেখা করতে গেলে হালিশহর ফইল্যাতলী এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান কিশোরীকে। সেখানে কৌশলে মঈনুদ্দিন তাঁর দুই বন্ধুসহ কিশোরীর বিশেষ মুহূর্তের ছবিগুলো তুলে রাখেন। এরপর ফোন করে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন তাঁরা। নাহলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি থানা-পুলিশকে জানানোর পর নগরের সিআরবি এলাকা থেকে দাবি করা ২০ হাজার টাকা নিতে এলে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরেকজন পালিয়ে যান। গ্রেপ্তার মঈনুদ্দিন কিছু করেন না। তাঁর নেশা শুধু মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করা। কিশোরীর সঙ্গে প্রতারণা ও চাঁদা দাবির অভিযোগে তাঁর খালাতো ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

স্কুলপড়ুয়া মেয়েদের ফেসবুক ব্যবহার করা ও সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। তিনি বলেন, সন্তানেরা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে—অভিভাবককে খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে, যা পুলিশের একার পক্ষে রোধ করা সম্ভব না।