Thank you for trying Sticky AMP!!

ভোট না দেওয়ায় শিক্ষককে হাতুড়িপেটার অভিযোগ

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে সভাপতি পদে ভোট না দেওয়ায় এক শিক্ষককে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের শালনগর মডার্ন একাডেমি স্কুলে গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার শিক্ষকের নাম শেখ মো. ফরহাদ হোসেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. সালেক মুন্সীকে প্রধান আসামি করে আজ শুক্রবার ২৬ জনের নামে মামলা করেছেন ওই শিক্ষকের স্ত্রী ও ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লতিফা পারভীন।

শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি (টিআর) সদস্য। নির্বাচনে সালেক মুন্সী পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। তিনি আমার কাছে ভোট চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি ভোট দিয়েছি রাজা মিয়াকে। রাজা মিয়া সভাপতি হয়েছেন। এরপর তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। আমাকে বলেছেন, নির্বাচনে যত টাকা খরচ হয়েছে তা দিতে হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আমার বাসায় ইট ছুড়ে মারলে বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে দেখি অনেক লোক। সবার হাতে রড, হাতুড়ি ও লাঠি। তখন তারা আমার দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। এ সময় তারা আমাকে ধরে রড, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়।’

অভিযুক্ত সালেক মুন্সী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই শিক্ষকের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। টাকা চাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। আমি ঘটনার সময়ে শালনগরে ছিলাম না। কারা কেন তাঁকে মেরেছে, তা আমি জানি না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়েছে।’

বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি রাজা মিয়া বলেন, ‘সালেক মুন্সীকে ভোট না দিয়ে আমাকে ভোট দেওয়ায় ওই শিক্ষককে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে। ওই গ্রামে আমার সমর্থকেরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।’

লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমানউল্লাহ আর বারী প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।