Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজধানীতে দুই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু

রাজধানীতে আজ শনিবার পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া আগুনে পুড়ে মারা গেছেন এক নিরাপত্তা প্রহরী। তাঁরা হলেন তানজিমা আকতার (২৭), সীমা আকতার (১৮) ও ওসমান আলী (৪৫)।

তানজিমার স্বামী মফিজুল ইসলাম বলেন, মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের ই ব্লকের ৮ নম্বর সড়কে তাঁর বাসা। আজ সকালে তাঁদের শয়নকক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তানজিমাকে দেখাতে পান। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে সকাল সোয়া ১০টায় তানজিমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
তবে তানজিমাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর বোন শামীমা আকতার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তানজিমাকে নির্যাতন করতেন মফিজুল। তাঁর বোনের মৃত্যুর জন্য দায়ী মফিজুল। চার বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। তানজিমার এক ছেলে রয়েছে। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। শামীমার এ অভিযোগের পর মফিজুলকে আটক করে পুলিশ।

মারা যাওয়া অপর গৃহবধূ সীমা আকতারের স্বামী গাড়িচালক অমিত হাসান বলেন, রাজধানীর কাঁঠালবাগান এলাকায় তাঁর বাসা। তিন মাস আগে সীমার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। আজ সকালে কাজের জন্য বাইরে চলে যান অমিত। এরপরই সীমার গলায় ফাঁস দেওয়ার সংবাদ পান তিনি। পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
এদিকে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন নিরাপত্তা প্রহরী ওসমান আলী। শ্যামলী ২ নম্বর সড়কের ১৩/৭/৫ নম্বর বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করতেন ওসমান আলী। সাত তলা ভবনের নিচতলায় নিরাপত্তা প্রহরীদের কক্ষে থাকতেন তিনি।
ওসমান আলীর স্ত্রী নাসিমা বলেন, তাঁর স্বামী যে কক্ষে থাকতেন সেখানে প্রায়ই পাইপ লাইনে গ্যাস বের হওয়ার ঘটনা ঘটত। সে কারণে কক্ষটির দরজা-জানালা খোলা রাখা হতো। তবে গতকাল শুক্রবার রাতে দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘুমান ওসমান। আজ ভোর চারটার দিকে আগুন ধরে যায় কক্ষটিতে। ওসমান আলীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ভর্তি করা হয়। পরে বিকেলে তিনি মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, তিনটি লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।