Thank you for trying Sticky AMP!!

‘রোকেয়া’ সেজে ময়না এখন শ্রীঘরে

গোপালগঞ্জে বাদী ও আসামিপক্ষের যোগসাজশে রোকেয়া বেগম সেজে ভুয়া সাক্ষ্য দিতে এসে ধরা খেলেন ময়না বেগম (৪৫) নামের একজন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বাদী, আসামি ও সাক্ষী ময়নাসহ নয়জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আদালতের নাজির মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আজ মুকসুদপুর থানার একটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এম এ হাই আদালতে বাদীসহ চারজন সাক্ষীকে হাজির করেন। সাক্ষীদের মধ্যে বাদীপক্ষের সাক্ষী হিসেবে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ফতেপট্টি গ্রামের রোকেয়া বেগম সেজে কাঠগড়ায় দাঁড়ান ময়না বেগম।

আদালতের কার্যক্রম চলার সময় বিচারক মোহাম্মাদ সাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাক্ষীর নাম একাধিকবার জিজ্ঞাসা করেন। তখন ওই নারী নাম বলতে ইতস্তত করতে থাকেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত বাদী উক্ত সাক্ষীর নাম রোকেয়া বলে জানান। যখন স্বামীর নাম জানতে চাওয়া হয়, ওই নারী তা বলতে পারছিলেন না। আসামিদের মধ্য থেকে একজন তাঁর স্বামীর নাম সূর্য শেখ বলে জানান। আদালতের সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওই নারী আদালতের কাছে স্বীকার করেন, তাঁর প্রকৃত নাম ময়না বেগম এবং তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার হাসামদিয়া গ্রামের আকরাম সিকদারের স্ত্রী।

এ ঘটনায় এই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জামিল আহমেদ বাদী হয়ে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার অভিযোগে ওই নারী, বাদী ও আসামিপক্ষের নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে বিচারক তাঁদের জেলহাজতে পাঠান।