Thank you for trying Sticky AMP!!

র‍্যাবের সঙ্গে কথিত গোলাগুলিতে 'রোহিঙ্গা ডাকাত' নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে র‍্যাবের সঙ্গে কথিত গোলাগুলিতে সন্দেহভাজন এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল,২টি ম্যাগাজিন ও ১৩টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি র‍্যাবের।

নিহত ব্যক্তির নাম নুরুল আলম (৩০)। তিনি টেকনাফের হ্নীলার নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের এইচ ব্লকের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। নুরুল মিয়ানমার মংডু থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

র‍্যাবের ভাষ্য, নুরুল নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের শালবন আনসার ক্যাম্পের অস্ত্র লুট ও কমান্ডার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি ও হত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা ছিল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।

র‍্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্প-১-এর ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট (বিএন) মির্জা শাহেদ মাহাতাব বলেন, র‍্যাবের একটি টহল দলের সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলি হয়। ডাকাতেরা অতর্কিতে র‍্যাবকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাব পাল্টা গুলি চালায়। আধঘণ্টা ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে এই গোলাগুলি চলে। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পাওয়া যায়। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয় র‍্যাব। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টেকনাফ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১৩ মে রাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শালবন আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায়। তারা আনসার কমান্ডার আলী হোসেনকে হত্যা করে। তারা ৬৭০টি গুলি ও ১১টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। কিছুদিন পর মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম এলাকার গহিন অরণ্যে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে লুট হওয়া ১১টি অস্ত্র ও ৯৫টি গুলি উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার হয় তিন রোহিঙ্গা।