Thank you for trying Sticky AMP!!

লাকসামে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

কুমিল্লার লাকসামে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার জের ধরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে এক পক্ষ। গত রোববার রাত আনুমানিক আটটায় লাকসাম সাহাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তিনটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব খানের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুস ভূঁইয়ার ভাগনে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাদাত হোসেনের রোববার রাত আটটায় বাতাখালী এলাকায় ছাত্রলীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলন ও কমিটি গঠন নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে উভয়ের মধ্যে তর্ক ও মারামারি হয়। একপর্যায়ে সাহাদাত হোসেন তাঁর লোকজন নিয়ে শিহাব খানকে ধাওয়া করেন। এতে শিহাব খান উপজেলার বাতাখালী এলাকা থেকে চলে আসেন। পরে শিহাব খান লোকজন নিয়ে উপজেলা সদরের পশ্চিমগাঁও সাহাপাড়া (সান্নিরপুল) এলাকায় ইউনুস ভূঁইয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। তাঁরা ইউনুস ভূঁইয়ার বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি করেন এবং দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দায়ী করেছে।
জানতে চাইলে ইউনুস ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ঝামেলা করেছে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এর জের ধরে একটি পক্ষ চেয়ারম্যানের বাড়িতে কয়েকটি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।