Thank you for trying Sticky AMP!!

লালপুরে হত্যা মামলার আসামি 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত

নাটোরের লালপুর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক হোসেন (৪৮) ওরফে শুটার মানিক ওরফে সুমন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার গোপালপুরের তোফাকাটা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, নিহত মানিক পাবনার ঈশ্বরদী শহরের শেরশাহ পূর্ব টেংরী মহল্লার ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি বড়াইগ্রামের কলেজছাত্র আমীন হোসেন হত্যা ও ছিনতাই মামলার আসামি। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে নাটোর, পাবনা ও রাজশাহী জেলায় হত্যা-ডাকাতিসহ আটটি মামলা আছে। মানিকের মরদেহের পাশ থেকে বড়াইগ্রামের কলেজছাত্র আল আমীনের ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, ৫ জুলাই বিকেলে দুর্বৃত্তরা বড়াইগ্রাম উপজেলার মকিমপুর সড়কে আমীন হোসেন ওরফে আল আমীন নামের এক কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাঁর মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মানিককে বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তিনি লালপুরের অলোক বাগচি হত্যা ও অটোরিকশা ছিনতাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে লালপুরের তোফাকাটা এলাকায় পৌঁছালে তাঁর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় মানিক পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হন এবং তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান। পরে তাঁকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মানিককে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সৈকত হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।