সাংসদ পাপুলের চার বছরের জেল
কুয়েতে মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে বাংলাদেশের সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। এর পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর–২ আসনের স্বতন্ত্র এই সাংসদকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার বা ৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুয়েতের ফৌজদারি আদালত বাংলাদেশের সাংসদের বিরুদ্ধে এই রায় দেন। কুয়েতের আদালত ও কূটনৈতিক সূত্রে সন্ধ্যায় এ তথ্য জানা গেছে।
কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওথমান বাংলাদেশের সাংসদের পাশাপাশি সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মাজেন আল জারাহকেও শহিদ ইসলামের মতো চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করেন। প্রভাবশালী ওই জেনারেল বাংলাদেশের সাংসদকে অনৈতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনায় মদদ দিয়েছিলেন।
Also Read: পাপুলের উত্থান যেভাবে
মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে শহিদকে গত বছরের ৬ জুন রাতে তাঁর কুয়েত সিটির বাসা থেকে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আটক করেন।
এর আগে লক্ষ্মীপুরের মানুষ সাংসদ শহিদকে দানবীর হিসেবে জানতেন। এলাকার লোকজন জানান, ১৯৮৯ সালে একটি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার (শ্রমিকদের তত্ত্বাবধায়ক) হিসেবে চাকরি নিয়ে কুয়েত যান শহিদ। তখন তিনি ছিলেন অনেকটা নিঃস্ব। ১৯৯০ সালে ইরাকের কুয়েত দখলের কারণে তিনি দেশে ফিরে আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শহিদ আবার কুয়েতে যান।
এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত মানুষকে চাকরি দেবেন বলে কুয়েতে পাঠানো শুরু করেন কাজী শহিদ। কুয়েতের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আদম ব্যবসায় নামেন তিনি। মারাফি কুয়েতিয়া গ্রুপ অব কোম্পানির নামে তিনি জনশক্তি রপ্তানি শুরু করেন। একসময় এই প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন তিনি।
Also Read: শুধু টাকার জোরেই...
আরও পড়ুন
-
কী ঘটেছিল, মনে করতে পারছে না শিশুটি
-
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল, অভ্যুত্থানেই পুরো পরিবারসহ খুন হন আফগান প্রেসিডেন্ট দাউদ খান
-
বাসা থেকে বেরিয়েই সালাহউদ্দিন বুঝলেন, এই গরমে ফুটবল খেলা সম্ভব নয়
-
গাজা ইস্যুতে মতপার্থক্য, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পদত্যাগ
-
প্রযোজকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাঙালি অভিনেত্রীর