বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস

বাংলাদেশ বিমানের ১০টি চাকা গায়েব, দুজন শনাক্ত

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশের অকশন শেড (নিলামঘর) থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০টি চাকা গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বলছে, এগুলো ছিল ‘নোজ টায়ার’।

এ ঘটনায় বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মো. জামাল হোসেন বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। সেখানে বলা হয় ঘটনাটি গত শনিবারের (১৬ আগস্ট)।

পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন জিডির তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রোকনুজ্জামান চৌধুরী। পাশাপাশি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও ঘটনাটি তদন্ত করে প্রাথমকিভাবে বিমানের দুজন কর্মীর সম্পৃক্ততার তথ্য জানতে পেরেছে।

বিমানের করা জিডিতে বলা হয়, ১৬ আগস্ট সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে অকশন শেডে ১০টি টায়ার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে বিমানের ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার মো. আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তাঁরা জানায়, বাংলাদেশের একটি বেসরকারি এয়ারলাইনসের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজশে টায়ারগুলো সরিয়ে ওই কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মূলত অবৈধ অর্থের জন্য টায়ারগুলো সরানো হয়।

এদিকে এ ঘটনার পর দায় স্বীকার করে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত দিয়েছেন ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার মো. আরমান হোসেন। সেখানে তিনি বলেন, বিমানের ১০টি টায়ার তিনি ইউএস–বাংলাকে দেন। এরপর বেসরকারি এয়ারলাইনসটি তাদের থেকে ৬টি টায়ার নিয়ে অকশন শেডে রাখেন। এটি নিরাপত্তা সদস্যদের দৃষ্টিগোচর হয়। নিরাপত্তা শাখার দুজন সদস্য এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনা স্বীকার করেন।

পরের ঘটনার বর্ণনায় বিমানের এই অভিযুক্ত কর্মকর্তা আরও জানান, নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বেসরকারি এয়ারলাইনসের ওই টায়ারগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিমানের টায়ারগুলো ফিরিয়ে এনে অকশন শেডে রাখা হয়।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, টায়ারগুলো নিলামের জন্য রাখা হয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সেগুলো সরানো হয়েছিল। তদন্তে দুজনের সম্পৃক্ততার বিষয় উঠে এসেছে। এর সঙ্গে আরও কারও সম্পৃক্ততা আছে কি না, খোঁজা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী খুব দ্রুতই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।