ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা ওসমান হাদিকে গুলি করেন মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ব্যক্তি। ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে
ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা ওসমান হাদিকে গুলি করেন মোটরসাইকেলের পেছনে বসা ব্যক্তি। ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে

শহীদ হাদি হত্যায় যুক্ত ৫ জনকে আটকের খবর অস্বীকার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ ওসমান শরিফ বিন হাদিকে হত্যায় যুক্ত ৫ জনকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) আটক করেছে—এমন তথ্য ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে এমন খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করেছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ।

সোমবার দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বলেছে, সোস্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট আমাদের নজরে এসেছে, যাতে বলা হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশের একটি সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ প্রতিবেশী দেশের কয়েকজন নাগরিককে আটক করেছে। এই খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।

এর আগে বাংলাদেশি সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর সহযোগী আলমগীর শেখকে সাহায্য করার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্পেশাল টাস্কফোর্স ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।

জুলকারনাইন সায়েরের দাবি ছিল, গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব, সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা তাইজুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বাপ্পি, মিরপুর এলাকার ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ নেতা রুবেল। এ ছাড়া সীমান্ত এলাকায় মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত ফিলিপস নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তারের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।

এই দাবি খারিজ করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, হাদি হত্যা মামলায় যুক্ত কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে তারা গ্রেপ্তার করেনি।

এর আগে বাংলাদেশের পুলিশ দাবি করেছিল, মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর সহযোগী মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে গেছে। তাঁদের সীমান্ত পাড়ি দিতে সহায়তাকারী পূর্তি ও সামী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মেঘালয় পুলিশ।

তবে বাংলাদেশের পুলিশের এই ভাষ্যকে ‘অসত্য’ বলে দাবি করেছে মেঘালয় পুলিশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তারা জানিয়েছে, পূর্তি বা সামীকে মেঘালয়ের কোথাও শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। যাচাই না করেই বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে। এই দাবিগুলো ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।