মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে রাস্তার ওপর ব্যবসায়ী লাল চাঁদকে নৃশংসভাবে হত্যার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছিল। ৯ জুলাই ২০২৫ বিকেলে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে রাস্তার ওপর ব্যবসায়ী লাল চাঁদকে নৃশংসভাবে হত্যার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছিল। ৯ জুলাই ২০২৫ বিকেলে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।

পুরান ঢাকায় লাল চাঁদকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আরও দুজন গ্রেপ্তার

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো. পারভেজ (২৬) ও মো. জহিরুল ইসলাম (৩৮)। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম এবং জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যগুলো জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগে পুলিশ ও র‍্যাব ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। এই দুজনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে সোহাগ হত্যার ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল দুর্বৃত্ত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় লাল চাঁদের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে ডিএমপি এর আগে জানিয়েছিল, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা সংঘটিত হয়।