
আইএসপন্থী জঙ্গিসংগঠন নব্য জেএমবির সামরিক শাখার দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। গতকাল সোমবার ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হত্যার জন্য তাঁরা রাজনীতিবিদ ও বিত্তশালী নাস্তিকদের বেছে নেন। তাঁরা অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন ও বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন।
পুলিশ জানায়, হত্যার জন্য তাঁরা রাজনীতিবিদ ও বিত্তশালী নাস্তিকদের বেছে নেন।
গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন সাফফাত ইসলাম ওরফে আবদুল্লাহ ওরফে উইলিয়াম ওরফে আল আরসালান ওরফে মেহেমেদ চাগরি বেগ (১৮) ও ইয়াছির আরাফাত ওরফে শান্ত (২০)।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, ৭/৮ জনের একটি স্লিপার সেল তাঁরা গঠন করেছেন। এটির নাম দেওয়া হয়েছে এফজেড ফোর্স। কৈশোর উত্তীর্ণ দুই তরুণ সাফফাত তাঁর এলিফ্যান্ট রোড ও ইয়াছির তার কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে কথিত হিজরত করেন ৪ জুলাই। তাঁরা সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার এবং সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন।
সিটিটিসি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, তাদের রয়েছে বিশেষ বাহিনী, গুপ্তচর বাহিনী, গুপ্ত ঘাতক ইউনিট, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স এবং ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট। বিশেষ বাহিনীর কাজ হত্যা, গুম ও কমান্ডো হামলা চালানো। তাদের ভাষায় গুপ্তচর ইউনিটের কাজ শত্রুপক্ষের ভেতরে ঢুকে তথ্য সংগ্রহ এবং স্নাইপার ইউনিটের কাজ নিরাপদ দূরত্বে থেকে ‘শত্রুকে শেষ করে দেওয়া’।
ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স ইউনিটের কাজ নিরাপত্তা বাহিনীর সব কৌশল আয়ত্ত করা। অন্যদিকে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট অস্ত্র বানানোর কৌশল আয়ত্ত করা ও বানানো ও সরবরাহ করার দায়িত্বে থাকা।
সাফফাত এ বছরই বিসিআইসি স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছে। ইয়াছিরের বাড়ি বরিশাল। তিনি চাঁদপাশা ইউপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি পাস করেন। পরে ঢাকায় আজিমপুরের আইডিয়েল কলেজে ভর্তি হন।
দুজনের বিরুদ্ধেই কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।