Thank you for trying Sticky AMP!!

আ.লীগ নেতা জাহিদুল হত্যার ঘটনায় আরও চারজন রিমান্ডে

জাহিদুল ইসলাম

ঢাকার শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম (টিপু) হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আরও চার আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ রোববার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া চার আসামি হলেন মাহাবুবুর রহমান টিটু, জুবের আলম খান রবিন, আরিফুর রহমান সোহেল ও খাইরুল ইসলাম।

এর আগে চার আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আসামিদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জাহিদুল হত্যা মামলায় ‘শুটার’ মাসুম ওরফে মোহাম্মদ আকাশ ও হত্যাকাণ্ডের ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ সুমন শিকদার ওরফে মুসাসহ এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিবির কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে টিটু শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাতক জিসানের অনুসারী। রবিন ও সোহেল মতিঝিল এলাকার একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অনুসারী। জাহিদুল হত্যাকাণ্ডে তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, জাহিদুল হত্যা মামলার আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ আসামি মোল্লা শামীম। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম নিহত হন। সে সময় ঘটনাস্থলে রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতিও (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

Also Read: আ.লীগ নেতা জাহিদুল হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে

মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে জাহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে দেশ থেকে পালিয়ে যান সুমন শিকদার। গত ৯ জুন ওমান থেকে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনে পুলিশ। পরে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্য, তিন থেকে চার মাস আগে জাহিদুল হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিকাশ-প্রকাশ গ্রুপের অন্যতম খুনি সুমন শিকদারের সঙ্গে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি করেন মতিঝিল ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক। এর মধ্যে প্রথমে সুমন শিকদারকে ৯ লাখ টাকা দেন তিনি। গত ১২ মার্চ টাকা নিয়ে দুবাই চলে যান সুমন।