Thank you for trying Sticky AMP!!

আ.লীগ সভাপতির ওপর কাদের মির্জার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ

হামলার পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান। সোমবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের (৭০) ওপর আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এতে খিজির হায়াতের সঙ্গে থাকা সাত-আটজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলার ঘটনার জের ধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কাদের মির্জা ও খিজির হায়াত খান-মিজানুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দিয়ে মাঝখানে অবস্থান নিয়েছে। তবে যেকোনো মুহূর্তে সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান প্রায় অর্ধশত দলীয় নেতা-কর্মীকে নিয়ে বসুরহাট রূপালী চত্বরে যান। তিনি সেখানে ইতিপূর্বে কাদের মির্জা তালা ঝুলিয়ে দেওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশের আরেকটি কক্ষে গিয়ে বসেন। ২০-২৫ মিনিটের মাথায় পৌরসভা কার্যালয় থেকে আবদুল কাদের মির্জা এবং বড় রাজাপুর এলাকার গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁর ভাই শাহদাত হোসেন ও ছেলে মির্জা মাশরুর কাদেরের (তাসিক মির্জা) শতাধিক অনুসারী রূপালী চত্বরে গিয়ে খিজির হায়াতের সঙ্গে থাকা দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এতে সাত-আটজন আহত হন।

সূত্র জানায়, হামলার একপর্যায়ে খিজির হায়াতকে ওই কক্ষের ভেতর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনা হয়। তাঁরা এ সময় তাঁকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন এবং পরনের পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন। পরে খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ এসে দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান বলেন, কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর ছেলেসহ এক দল লোক অতর্কিতে তাঁর ওপর হামলা চালান। কাদের মির্জা নিজেই তাঁর পাঞ্জাবির কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসেন। এ সময় অন্যরা তাঁকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করেন। পরে তিনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি এই হামলার বিচার চান।

খিজির হায়াতের অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। তবে কাদের মির্জার অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, খিজির হায়াত দলীয় কার্যালয়ে বসার চেষ্টা করেছিলেন। তখন কাদের মির্জার কিছু পোলাপান গিয়ে তাঁকে বের করে দিয়েছেন। তখন হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। কাদের মির্জা খিজির হায়াতকে কিছু করেননি। তিনি বরং পোলাপানদের ডেকে নিয়ে গেছেন।

রাত সাতটা পর্যন্ত খিজির হায়াত-মিজানুর রহমানের অনুসারীরা উপজেলা পরিষদের দিকে আর কাদের মির্জার অনুসারীরা পৌরসভা ভবন এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত কোনো কথাবার্তা ছাড়াই ৬০-৭০ জন দলীয় কর্মী নিয়ে কার্যালয়ের পাশের একটি কক্ষে গিয়ে বসেন। তখন খবর পেয়ে কাদের মির্জা, তাঁর ভাই শাহদাত ও ছেলে তাসিক মির্জা কয়েক শ অনুসারী নিয়ে সেখানে হামলা চালান। তাঁরা এ সময় কক্ষ থেকে খিজির হায়াতকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসেন।

ওসি বলেন, তাঁরা খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত সাতটা পর্যন্ত খিজির হায়াত-মিজানুর রহমানের অনুসারীরা উপজেলা পরিষদের দিকে আর কাদের মির্জার অনুসারীরা পৌরসভা ভবন এলাকায় অবস্থান করছিলেন। তাঁরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।