‘এটা কম্বল পাইলাম, অনেক ওম, রাতে আরামে থাহা যাবি’
বৃদ্ধা জয়গুন বেগমের বাড়ি রাজবাড়ী সদরের লক্ষ্মীপুর গ্রামে। বন্ধুসভার মাধ্যমে প্রথম আলো ট্রাস্টের কম্বল পেয়ে তিনি খুব খুশি। তিনি বলেন, ‘কম্বল দেওয়ার কথা শুনে আসলাম। এটা কম্বল পাইলাম। অনেক ওম। রাতে আরামে থাহা যাবি।’
কম্বল নিতে আসা চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের আফসার আলী বলেন, ‘বয়স হওয়ার কারণে কাজকাম তেমন করতে পারি না। হাতে টাকাপয়সাও নেই। কয়েক দিন ধরে শীতে ঘুমাতে পারি না। বাইরেও খুব ঠান্ডা বাতাস। প্রথম আলো কম্বল দিয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালো করুক।’ আবদুল আজিজ নামের আরেক প্রবীণ বলেন, ‘কাজ করতে গিয়ে পায়ে আঘাত পাই। অনেক দিন বিছানায় ছিলাম। অনেক টাকাপয়সা খরচ হয়েছে। ধারদেনা হয়েছে। হাতের অবস্থা ভালো না। আজ প্রথম আলোর নতুন কম্বল পেলাম। মোটা কম্বল। এই শীত আরামে কাটাতে পারব।’
রাজবাড়ীতে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে এ রকম ২০০ শীতার্ত অসহায় মানুষের মধ্যে আজ শনিবার কম্বল ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। বেলা ১১টায় রাজবাড়ী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। পরে ১ নম্বর পৌর মিলেনিয়াম মার্কেটে আরও ১৫ জনকে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরণের ব্যবস্থাপনায় ছিল প্রথম আলো রাজবাড়ী বন্ধুসভা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো রাজবাড়ী বন্ধুসভার সভাপতি অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান, জেলা সিপিবির সভাপতি আবদুস সামাদ মিয়া, বন্ধুসভার উপদেষ্টা রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি উজির আলী সেখ, বন্ধুসভার উপদেষ্টা চিকিৎসক আবুল হোসেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক শামীমা আক্তার মুনমুন, বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি প্রদ্যুৎ কুমার দাস, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সহসভাপতি কাজী আবদুল কুদ্দুস, বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক কার্ত্তিক চন্দ্র দাস, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী অনুপ কুমার দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিদয় খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক সুমা কর্মকার, দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক হুসনে নাহিদা প্রিয়া, নারীবিষয়ক সম্পাদক শাহীনা সুলতানা, পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা বেগম, প্রচার সম্পাদক কানিজ ফাতেমা বেবী, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এরিন, অনুষ্ঠানবিষয়ক সম্পাদক সপ্তদীপা পাল, যোগাযোগ সম্পাদক পিয়াল মাহমুদ প্রমুখ। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন প্রথম আলো রাজবাড়ী প্রতিনিধি এজাজ আহম্মেদ।
কম্বল বিতরণের আগে বন্ধুসভার বন্ধুরা বিভিন্ন এলাকার দুস্থ মানুষ বাছাই করে তাঁদের মধ্যে কার্ড পৌঁছে দেন। তিন দিন ধরে কার্ড বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।