কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে হামলায় নিহত দিলীপ হত্যা মামলা, আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

সাইফুল ইসলাম
সাইফুল ইসলাম

শারদীয় দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীর দিনে হামলার সময় কুমিল্লা নগরের মনোহরপুর রাজ রাজেশ্বরী কালীবাড়ি মন্দিরের প্রধান ফটক বন্ধ করতে গিয়ে ইটের আঘাতে নিহত হন দিলীপ কুমার দাস। ওই হত্যা মামলায় সাইফুল ইসলাম (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের কান্দিরপাড় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম বলেন, সাইফুলকে ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হবে। এ মামলায় সাইফুলসহ চারজন গ্রেপ্তার হলেন। ঘটনার সময়কার ভিডিও ফুটেজে সাইফুলের হাতে ইটের টুকরা দেখা গেছে। সাইফুল ইসলামের বাড়ি দেবীদ্বার উপজেলার এগারগ্রামে।

কুমিল্লা মহানগর পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস টিটু জানান, ১৩ অক্টোবর দুপুরে কুমিল্লা নগরের নানুয়াদিঘির পাড়ে পূজামণ্ডপ থেকে পবিত্র কোরআন শরিফ উদ্ধারের পর এ ঘটনার প্রতিবাদে কিছু বিক্ষুব্ধ উত্তেজিত তরুণ নগরের মনোহরপুর এলাকার রাজ রাজেশ্বরী কালীবাড়ি মন্দিরের পাশ দিয়ে মিছিল করে যাচ্ছিলেন। এ সময়ে মিছিল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় মন্দিরে। তখন মন্দিরে পূজা-অর্চনায় ছিলেন নগরের রাজগঞ্জ পানপট্টি এলাকার দিলীপ কুমার দাস।

একপর্যায়ে তিনি পূজা-অর্চনা রেখে মন্দিরের প্রধান ফটক বন্ধ করতে যান। তখন মিছিল থেকে ছোড়া ইটের টুকরা তাঁর কপাল ও মাথায় লাগে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো করা হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ অক্টোবর রাতে তিনি মারা যান।

দিলীপ কুমার দাস কুমিল্লা নগরের রাজগঞ্জ এলাকার বিষু লাল দাসের ছেলে। এ ঘটনায় ২৪ অক্টোবর রাতে দিলীপের স্ত্রী রূপা রানী দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সাইফুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় এর আগে আরও তিনজন গ্রেপ্তার হন।