Thank you for trying Sticky AMP!!

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল: পলেস্তারা খসে পড়ে চিকিৎসক ও নার্স আহত

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে চিকিৎসক ও নার্স আহত হন। বুধবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে চিকিৎসক ও নার্স আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) নার্সদের কার্যালয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় আহত দুজন হলেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ইফফাত জাহান ও জ্যেষ্ঠ নার্স মৌসুমী আক্তার। ইফফাত জাহান প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হোস্টেলে চলে গেছেন। নার্স মৌসুমীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর মাথা, হাত ও পেটে আঘাত লেগেছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ১৬ শয্যার করোনারি কেয়ার ইউনিট। ইউনিটের প্রবেশমুখে নার্সদের কার্যালয়। সেখানে চিকিৎসক ও নার্সরা কাজ করেন।

করোনারি কেয়ার ইউনিটের নার্সদের ইনচার্জ রহিমা খাতুন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় তিনি পাশের কক্ষে নামাজ পড়ছিলেন। পাশের কক্ষে ইন্টার্ন চিকিৎসক ইফফাত জাহান ও জ্যেষ্ঠ নার্স মৌসুমী আক্তার দায়িত্বরত ছিলেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান। নামাজ শেষ করে কক্ষে গিয়ে দেখতে পান ছাদের পলেস্তারা ও সিলিং খসে নিচে পড়ে আছে। পলেস্তারা খসে পড়ে চেয়ারে বসে থাকা চিকিৎসক ও নার্স আহত হন। দ্রুত হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের ছাদের পলেস্তারা খসে নার্সদের চেয়ার ও টেবিলের ওপর পড়ে। বুধবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে

সরেজমিন সন্ধ্যা সাতটায় গিয়ে দেখা যায়, ছাদে লাগানো সিলিংগুলো খুলে রাখা হয়েছে। ছাদের বেশ কয়েকটি স্থানের পলেস্তারা খসে পড়েছে। আহত নার্স মৌসুমী আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মাথায়, হাতে ও পেটের ওপর পলেস্তারার টুকরা পড়েছে। মাথার একটা জায়গায় ফুলে গেছে। তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

সেখানে দায়িত্বরত এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, খুবই ভয় লাগছে। ওপরের দিকে চোখ রেখে কাজ করতে হচ্ছে। কেননা এখনো কিছু পলেস্তারা ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় আছে।

করোনারি কেয়ার ইউনিটের দায়িত্বরত চিকিৎসক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাসীমুল বারী বলেন, নার্সকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে ওই কার্যালয় সংস্কার করা হবে।