বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীর দেখা করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। আজ শুক্রবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।
বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে 
অনশনরত দুই শিক্ষার্থীর দেখা করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। আজ শুক্রবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করলেন মেয়র খালেক

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনশনরত দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ও কয়েকজন কাউন্সিলর গিয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীকে অনশন ভঙ্গ করার অনুরোধ জানান। তবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীরা অনশন ভঙ্গ করবেন না বলে মেয়রকে জানান।

এমন পরিস্থিতিতে বেলা ৩টার দিকে মেয়র আবার সেখানে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ওই সময় অনশনরত দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি নিয়ে তাঁদের দেবেন বলে জানা গেছে।

গত বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন কারণে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড। ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হওয়া অনশন কর্মসূচি এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনশনরত এক শিক্ষার্থী। তাঁকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।

অসুস্থ হওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ওরফে নোমান। তিনি বাংলা ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) শিক্ষার্থী। অনশনরত অন্য শিক্ষার্থী ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলামের অবস্থাও খুব বেশি ভালো নয়। তাঁকেও যেকোনো সময় স্যালাইন দেওয়া লাগতে পারে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অসুস্থ হয়ে পড়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো ধরনের চিকিৎসা সহায়তা তাঁরা পাননি। এ কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাইরে থেকে চিকিৎসক নিয়ে এসে তাঁদের চিকিৎসা করিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে তাঁরা অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। রোববার সন্ধ্যা ৭টা থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে একই স্থানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন কমানো, আবাসন সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে কয়েক শ শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাঁরাও আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। ওই সময় দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগ তোলা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। তবে ওই দুই শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন।