গাইবান্ধা শহরের পৌর পার্কের গতকাল শনিবারের দৃশ্যটা ছিল অন্য রকম। এমনিতেই দৃষ্টিনন্দন পার্ক। গতকাল দিনভর সেখানে লালন উৎসব হয়।
বেলা সাড়ে তিনটায় পৌর পার্কের কড়ইতলার মঞ্চে ভিন্ন পোশাকে ওঠে এলেন লালনশিল্পীরা। এরপর লালনশিল্পীদের কণ্ঠে বেজে উঠল সেই জনপ্রিয় গান, ‘মিলন হবে কত দিনে...’। কিছুক্ষণের মধ্যে দর্শকে ভরে যায় কড়ইতলা চত্বর। এভাবে ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ প্রভৃতি জনপ্রিয় গান পরিবেশিত হয়। লালনগীতিসহ নানা অনুষ্ঠানে গতকাল দিনভর জমেছিল গাইবান্ধার পৌর পার্ক।
এর আগে সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংগীতশিল্পী শাহ মশিউর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে একটি শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। লালন উৎসব উদ্যাপন পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উৎসবের স্লোগান ছিল ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’।
দুপুরে শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও লালনগীতি প্রতিযোগিতা। এরপর লালনের জীবনদর্শনের ওপর আলোচনায় অংশ নেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদুল হক। বক্তব্য দেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক প্রমতোষ সাহা।
উৎসবে লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফুলছড়ির বালাসি বাউলসংগীত একাডেমির শিল্পী দুলাল সাঁই, সোমা সেন, শেখ জামাল, রিজু আহমেদ, জ্যোর্তিময় সরকার, ইয়াসমিন। যন্ত্রে সহযোগিতা করেন আবদুল আলিম (বাঁশি), আবদুর রউফ (দোতারা), মাহমুদ সাগর (তবলা), জহিজল হক (একতারা), মিজানুর রহমান (হারমোনিয়াম) ও মানিক বর্মণ (পার্কেশন)। উপস্থাপনায় ছিলেন অমিতাভ দাশ।