ছাগল চুরির মামলায় আদালতে ইউপি চেয়ারম্যানের আত্মসমর্পণ

ফেনী জেলার মানচিত্র
ফেনী জেলার মানচিত্র

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার রামগতির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতের বিচারক নুসরাত জামান এ আদেশ দেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে মামলায় জামিনের আবেদন করেছেন ওই চেয়ারম্যান।

আসামি শাখাওয়াত হোসেন চরবাদাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি রামগতি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি) আদালতে মামলাটি করেন জুলফিকার আলী চৌধুরী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। মামলায় তিনি ছাগল চুরি, ছাগল জবাই, মাছের খাবার চুরির অভিযোগ আনেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন ছাড়া আসামি করা হয়েছে তাঁর ছেলে ইফতেখার হোসাইন, পূর্ব চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন, নুরুল আমিন ও খুরশিদ আলমকেও।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাড়ির সামনে জুলফিকার আলীর একটি প্রকল্প আছে। গত ২৬ জানুয়ারি ভোররাতে সেখানে ঢুকে দুটি ছাগল জবাই ও চুরি করে নেন অভিযুক্তরা। এ ছাড়া ওই প্রকল্পে থাকা মাছের খাবার এবং একটি পাম্প চুরি করা হয়। ওই দিন সকালে প্রকল্পস্থলে গিয়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন এবং ঘটনাস্থলে ছাগল জবাই করায় রক্তের দাগ দেখতে পান।

চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেনের আইনজীবী শামছুদ্দিন হিমেল জানান, শাখাওয়াত হোসেনসহ সব আসামি আজ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছেন। দুপুরের পর আদালতে শুনানি হবে।

বাদী জুলফিকার আলীর আইনজীবী মো. সোলায়মান মোল্লা জানান, ছাগল চুরির মামলা আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আদালত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, তাঁর সম্মান নষ্ট করতেই ছাগল চুরির মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে জামিনের আবেদন করেছেন।