ছাতকে নৌ পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৬

সুনামগঞ্জ জেলার মানচিত্র
সুনামগঞ্জ জেলার মানচিত্র

সুনামগঞ্জের ছাতকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িত লোকজনের হামলার শিকার হয়েছেন নৌ পুলিশের একটি টহল দলের সদস্যরা। গতকাল রোববার রাতে চেলা নদীতে উপজেলার নিয়ামতপুর এলাকায় এই হামলার ঘটনায় টহল দলটির ছয়জন আহত হয়েছেন। তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মঞ্জুর আহমদের নেতৃত্বে একটি দল রোববার বিকেলে চেলা নদীতে নিয়মিত টহলে বের হয়। টহল থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যা হয়ে যায়। ফেরার পথে টহল দলের সদস্যরা নিয়ামতপুর এলাকায় ইজারাবহির্ভূত স্থানে চারটি বাল্কহেড দেখতে পান। এসব বাল্কহেডে থাকা লোকজন সেখানে বোমা মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন। নৌ পুলিশের সদস্যরা ওই বোমা মেশিন ও বাল্কহেড জব্দ করেন।

একপর্যায়ে তাঁরা ছাতকের পথে রওনা দেন। তখন ওই বাল্কহেডের মালিক, শ্রমিকসহ এলাকার ৪০-৫০ জন নৌ পুলিশ সদস্যদের বহনকারী ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি ঘেরাও করেন। তাঁরা হামলা চালিয়ে নৌকাটি ডুবিয়ে দেন এবং পুলিশ সদস্যদের মুঠোফোন ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেন। হামলায় পরিদর্শক মঞ্জুর আহমদ, উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক সবুজ হোসেন, কনস্টেবল মো. শাহজাহান, সাব্বির আহমদ ও সৈকত কুমার দেব আহত হন।

পুলিশ সদস্যদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে যান। তাঁদের উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। আহত মঞ্জুর আহমদ, হাবিবুর রহমান ও সৈকত কুমার দেব ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সোমবার নৌ পুলিশের সিলেট রেঞ্জের পুলিশ সুপার শম্পা ইয়াসমিন ছাতকে আসেন এবং ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। শম্পা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জড়িত যারাই হোক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’