Thank you for trying Sticky AMP!!

ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে রাখা হলো লাশ

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় নিমবাড়িয়া লক্ষ্মীরামপুর গ্রামে গতকাল শনিবার ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর তার লাশ বাঁশঝাড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল রাতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, গতকাল রাত নয়টার দিকে মান্দা উপজেলার নিমবাড়িয়া পশ্চিম লক্ষ্মীরামপুর গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে ছয় বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই শিশুটিকে হত্যার অভিযোগে স্থানীয় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের কাছে দেওয়া প্রাথমিক জবানবন্দিতে ওই কিশোর শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

পুলিশ সুপার বলেন, গতকাল বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে শিশুটি অন্য শিশুদের সঙ্গে বাঁশঝাড়ে খেলা করছিল। এ সময় অভিযুক্ত কিশোর বাঁশঝাড়ে কঞ্চি কাটছিল। খেলা শেষে অন্য শিশুরা বিকেল তিনটার দিকে নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। এরপর অভিযুক্ত কিশোর ওই শিশুকে কৌশলে বাঁশঝাড়ের পাশে অবস্থিত খড়ের পালার পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির রক্তক্ষরণ হলে সে কান্না করে এবং বিষয়টি মা–বাবাকে বলে দেবে বলে জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে ওই কিশোর গলা চেপে শ্বাস রোধ করে শিশুটিকে হত্যা করে। পরে  বাঁশঝাড়ের ঝোপের মধ্যে বাঁশের পাতা ও কঞ্চি দিয়ে ঢেকে লুকিয়ে রাখে লাশটি। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাঁশঝাড়ের মধ্যে শিশুটির লাশ দেখতে পেয়ে মান্দা থানায় খবর দেন স্থানীয় লোকজন। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। রাতেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে কয়েক শ গ্রামবাসীর সামনে গ্রেপ্তার কিশোর ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মান্দায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গ্রেপ্তার হওয়া কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া ওই কিশোরকে আজ রোববার বিকেলে আদালতে পাঠানো হবে।