
রাজধানীর গাবতলীর তুরাগ নদে যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যাওয়া পাঁচজনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সাভার উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় প্রতি পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
এদিকে আজ রোববার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে উদ্ধারকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে এখনো নিখোঁজ দুজন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ) সহকারী পরিচালক শেখ রবিউল ইসলাম বলেন, উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে ২ থেকে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখোঁজ মা-মেয়ের সন্ধানে টহল অব্যহত থাকবে।
সাভার উপজেলা কার্যালয় ও আমিনবাজার নৌ–থানা সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচটি পরিবারকে অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে। এদিকে আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল। সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মো. সফিকুলের স্ত্রী রুপায়ন (৩০) ও তাঁর মেয়ে জেসমিন (২) এখনো নিখোঁজ।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল থেকে মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। লাশ দাফনের জন্য এই সহায়তা দেওয়া হয়।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমিনবাজার নৌ–থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর শেখ বলেন, এখনো দুজন নিখোঁজ। গতকাল রাতেই উদ্ধার হওয়া লাশগুলো তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
গতকাল ভোর সাড়ে পাঁচটায় আমিনবাজারের কেবলারচর ঘাট থেকে যাত্রীবাহী নৌকা তুরাগ নদের অপর প্রান্তে দ্বীপনগর ঘাটে যাচ্ছিল। নৌকায় ১৮ জন যাত্রী ছিলেন। মাঝনদে যাওয়ার পর উত্তর দিক থেকে খালি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ ৭ জন নিখোঁজ হন। চার শিশু ও একজন নারীর লাশ গতকাল উদ্ধার করা হয়েছে।