জামালপুরের বকশীগঞ্জ

দশানী নদীর ভাঙনে বিলীনের মুখে তিন শতাধিক বসতভিটা

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার খানপাড়া গ্রামে দশানী নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। গত বৃহস্পতিবার
 ছবি:  প্রথম আলো

দশানী নদীতে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার খানপাড়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার বিলীন হয়ে গেছে। নদীভাঙনের কারণে হুমকিতে রয়েছে তিন শতাধিক বসতভিটা।

এলাকাবাসী বলেন, নদীভাঙন ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো খানপাড়া গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় লোকজন বলছে, বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়নে খানপাড়া গ্রাম। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে দশানী নদীতে পানি বাড়ে। কয়েক দিন ধরে পানি কমতে থাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত কয়েক দিনে ১২ জনের বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন রোধে সরকার এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এখন ভাঙন আইরমারী ও খেওয়ারচর গ্রামের দিকে যাচ্ছে।

খানপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আসাদুজ্জামান খান বলেন, গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে দশানী নদী চলে গেছে। বন্যার পর থেকে নদীতে প্রবল স্রোত বইছে। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন চলছে। পাড় ভেঙে নদীতে আছড়ে পড়ছে। গত পাঁচ বছরে তাঁর বাড়ি চারবার নদীগর্ভে চলে যায়। এবার ভাঙনও তাঁর বাড়ির খুব কাছে। ফলে তিনি ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর ধরে গ্রামে ভাঙন হচ্ছে। এখন পর্যন্ত গ্রামের চার ভাগের দুই ভাগ এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে যেভাবে ভাঙন চলছে, কোনো ব্যবস্থা না নিলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, ওই গ্রামে তীব্র ভাঙন হচ্ছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। তবে সেটা পর্যাপ্ত নয়। ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।