Thank you for trying Sticky AMP!!

ধলাই নদে চাঁদাবাজি বন্ধে রাতে পুলিশের টহল

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল লুংলংপুঞ্জি থেকে এপারে নেমে আসা সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ দিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদ

চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন ঠেকাতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তে ধলাই নদে রাতে টহল দেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। বর্ষা মৌসুমে নৌপথে চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নদের তীরে অবস্থান করে গতকাল রোববার রাত থেকে টহল দেওয়া শুরু হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নদীকেন্দ্রিক হওয়ায় রাতের পালায় টহল পুলিশের নজরদারি ধলাই নদের দিকে রয়েছে। তবে বর্ষাকালে রাতে এই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাতে বৃষ্টি হলেও যাতে নজরদারির ব্যাঘাত না ঘটে, এ জন্য ভোলাগঞ্জ এলাকায় একটি স্থাপনাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চল লুংলংপুঞ্জি থেকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ হয়ে এপারে নেমে এসেছে ধলাই নদ। এ নদের উৎসমুখে রয়েছে সিলেটের নতুন পর্যটনকেন্দ্র সাদা পাথর। আর নদরে এক পাশে দেশের বৃহত্তম পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জ। নদ ঘিরে আছে চারটি বালুমহাল। বালু ও পাথর পরিবহনে পুরো বর্ষাকাল ধলাই নদে চলে শত শত নৌযান।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন আচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ধলাই নদের উৎসমুখ এলাকায় সাদা পাথর এলাকা। সেখানকার পাথর যাতে রাতে চুরি না হয়, এ জন্য সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের নজরদারি রয়েছে। এর বাইরে পুলিশের নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। পাহাড়ি ঢল নামায় নদের পানিও বাড়ছে। এতে করে নৌযান চলাচলও বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে পুরো নদের ওপর প্রশাসনেরও নজর রয়েছে।