নিরুপায় হয়ে ডিসিকে ফোন, পৌঁছে গেল চাল-ডাল
বৃহস্পতিবার রাত আটটা। বরিশাল জেলা প্রশাসকের (ডিসি) মুঠোফোন বেজে ওঠে। অপর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি ডিসিকে বলছেন, ‘স্যার, আমি নিরুপায় হয়ে আপনাকে ফোন করেছি। আমি বরিশাল নগরের বিবির পুকুরের পূর্ব পাড়ে বাস করি। আমাদের এখানে ১৫টি পরিবার আছে। নিম্ন আয়ের পরিবার হলেও লোকলজ্জায় আমরা কারও কাছে হাত পাততে পারি না। এ জন্য কেউ আমাদের সহায়তা দেয় না। এত দিন কষ্টেসৃষ্টে দিন চললেও এখন আমাদের এই ১৫ পরিবারের কারও ঘরে রান্না করার মতো একমুঠো চাল নেই। হাতে টাকাও নেই যে চাল কিনব।’
জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শাহাদাৎ হোসেনকে ডাকলেন। এ সময় তিনি তাঁকে ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে এসব পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানোর নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পাওয়ার পর রাত ১০টার দিকে এনডিসি শাহাদাৎ হোসেন অপর একজন কর্মচারীকে নিয়ে বিবির পুকুরের পূর্ব পাড়ে যান এবং এই ১৫টি পরিবারকে খুঁজে বের করেন। তাঁরা প্রত্যেক পরিবারের ঘরে গিয়ে ১০ কেজি করে চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল এবং একটি করে সাবান পৌঁছে দেন।
সহায়তা পাওয়ার পর ষাটোর্ধ্ব নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আজ চাউল না পাইলে কাইল না খাইয়া থাকতে অইতো আমাগো। এই রাইতে এমন সহায়তা পাওনে কাইল দুগ্গা ভাত মোহে দেতে পারমু। আল্লায় তোমাগো ভালো করুক।’
এ বিষয়ে এনডিসি শাহাদাৎ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে এই পরিবারগুলোর কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে পারায় খুব ভালো লাগছে।’
আরও পড়ুন
-
ডিজেলের দাম লিটারে বাড়ল এক টাকা, পেট্রল ও অকটেন আড়াই টাকা
-
যৌন কেলেঙ্কারিতে বিপাকে বিজেপি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নাতি জেডিএস থেকে বহিষ্কার
-
চোখ মেলছেন নিবিড়, ছেলের মুখে বাবা ডাক শোনার অপেক্ষায় কুমার বিশ্বজিৎ
-
বিশ্বকাপের দলে মাহমুদউল্লাহ, সাইফউদ্দিন
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে আপিল করছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়