
জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর এলাকা পটিয়ার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে আগাম টিকা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. রবিউল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, রবিউল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আর কোনো আইনি পদেক্ষপ নেওয়া হবে কি না, জানাতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা দেশে নতুন। তাই আইনগত কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা আমাদের আইনি সেকশনকে খতিয়ে দেখতে বলেছি। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আরও কেউ এ ঘটনায় জড়িত কি না, তা দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গতকাল সোমবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবীরের কাছে জমা দেন। তিনি তদন্ত প্রতিবেদনটি মহাপরিচালক বরাবর পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তা আজ বিকেল পর্যন্ত পাননি বলে মহাপরিচালক জানান।
জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট অজয় দাশের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন আসিফ খান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক নুরুল হায়দার।
তদন্ত কমিটি তাঁদের তিন পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে পটিয়ার শোভনদণ্ডীতে প্রায় ২ হাজার ৬০০ টিকা দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন। গত শুক্র ও পরদিন শনিবার এই টিকা দেওয়া হয়। রবিউল হোসেন একক সিদ্ধান্তে এই টিকা দেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকা রাখার দায়িত্ব রবিউল হোসেনের ওপর। এই সুযোগ নিয়ে তিনি কাজটি করেছেন। শোভনদণ্ডী এলাকায় রবিউলের বাড়ি। এ ছাড়া টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোল্ডচেইন মানার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়।